আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হোটেলকর্মী সিয়াম সরদার হত্যা মামলায় সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোশাররফ হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে হাজির করে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেগুনবাগিচা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সিয়াম সরদার (১৭) রাজধানীর মিরপুরের হোটেল রাব্বানীতে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে গুলিতে নিহত হন।
এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর সিয়ামের বাবা সোহাগ সরদার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর থানাকে এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ। নাট্য অভিনেতা হিসেবে খ্যাতিমান আসাদুজ্জামান নূর ২০০১ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও আসাদুজ্জামান নূর সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
আর মাহবুব আলীর বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায়। তিনি ২০১৪ সাল থেকে টানা দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি বিমান প্রতিমন্ত্রী হন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাঁকে মনোনয়ন দেয়। তবে নির্বাচনে তাঁকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ সায়েদুল হক। যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামে পরিচিত।